ভুলের খেসারত আওয়ামী লীগকেই দিতে হবে

প্রকাশঃ ফেব্রুয়ারি ৮, ২০১৫ সময়ঃ ১:৫৬ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১:৫৬ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রতিক্ষণ ডটকম :

সালাহ-উদ্দিন-আহমেদপঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে রাজনৈতিক সমস্যার জন্ম দিয়েছেন, সেই সংশোধনী বাতিল করে সমস্যার সমাধান তাকেই করতে হবে বলে মন্তব্য করেছে বিএনপি। একইসঙ্গে গাইবান্ধায় পেট্রোল বোমা হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির দাবি জানিয়েছে দলটি। গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, অবৈধ সরকারের সেবাদাস কর্তাব্যক্তিরা আন্দোলনরত বিরোধী নেতাকর্মীদের নৃশংস কায়দায় ক্রসফায়ারে হত্যা করে দেশকে বধ্যভূমিতে পরিণত করেছে। ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে রাজধানী পর্যন্ত সর্বত্র ওইসব দলবাজ পিশাচ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তালিকা প্রণয়ন করছে। দেশ আজ ভয়ঙ্কর পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। জাতিকে সেই পুলিশি রিমান্ড থেকে মুক্ত করার জন্য অবিরাম সংগ্রামের কোন বিকল্প নেই।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ৫ই জানুয়ারির প্রহসনের নির্বাচন করে আওয়ামী লীগই রাজনৈতিক ভুল করেছে। সেই ভুলের খেসারত তাদের দোসরদের দিতে হবে। জনগণ সেই দায় নেবে না। বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব বলেন, সাংবিধানিক, গণতান্ত্রিক ও নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আন্দোলনের সকল দরজা বন্ধ করে দিয়ে সরকারই জনগণকে বাধ্য করেছে রাজপথে অবিরাম সংগ্রামে লিপ্ত হতে। দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে অঘোষিত কারাগারে রুদ্ধ করে সরকারের গদি রক্ষার স্বপ্ন কোনদিনই পূরণ হবে না। গণআন্দোলনের বিজয়ের মধ্যদিয়েই জনগণ তাদের প্রিয় নেত্রীকে মুক্ত করবে।

গাইবান্ধায় পেট্রোল বোমা হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, শুক্রবার রাতে গাইবান্ধার তুলশীঘাটে যাত্রীবাহী বাসে বর্বরোচিত পেট্রোল বোমা হামলার ঘটনায় ২০ দলীয় জোট নেতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানাচ্ছি। এছাড়া সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি। পেট্রোল বোমা হামলায় নিহত বাসযাত্রীদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ২০ দলের নেতাকর্মীরা  এ ধরনের নাশকতামূলক কর্মকান্ডে জড়িত নয়। বরং গণতন্ত্র মুক্তি আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে সরকারই এ ধরনের নাশকতামূলক কর্মকা  ঘটিয়ে বিরোধী দলের ওপর দায় চাপানো এবং নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যমে তা প্রচার ও প্রকাশের অপচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এসব ঘটনায় সরকারের সংশ্লিষ্টতার তথ্য প্রমাণ আমরা আমাদের গতকালের বিবৃতিতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছি। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী পুত্র জয় অস্ত্রের ভাষায় কথা বলে মুজিব বংশীয় রক্তের প্রতিধ্বনি করেছেন। রাজনীতির পাঠশালায় বাল্যশিক্ষা শ্রেণী অতিক্রম না করার আগেই ভাষণ দেয়া শুভলক্ষণ নয়। জয়ের মায়ের পিতা শেখ মুজিব রক্ষীবাহিনী গঠন করে নারকীয় হত্যাযজ্ঞে পুরো দেশকে বধ্যভূমিতে পরিণত করেও রক্ষা করতে পারেনি। গণআন্দোলনের তীব্রতা দেখে সরকার অতিমাত্রায় ভিত হয়ে গুম, খুন, অপহরণ, দমন-পীড়ন, হামলা-মামলা এবং গ্রেপ্তার নির্যাতন চালিয়ে শেষরক্ষা পেতে চায়।

কিন্তু ইতিহাস সাক্ষী দেয়- জনতার ন্যায্য আন্দোলনের মুখে স্বৈরাচারী সরকারের পতন হয়েছে যুগে যুগে দেশে দেশে। এই স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকারের পতনও এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, গণতন্ত্র মুক্তি আন্দোলনের বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত চলমান অনির্দিষ্টকালের শান্তিপূর্ণ অবরোধ কর্মসূচির পাশাপাশি রোববার সকাল ৬টা থেকে বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত দেশব্যাপী ৭২ ঘণ্টার সর্বাত্মক হরতাল শান্তিপূর্ণভাবে পালন করতে বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীসহ দেশবাসীকে উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি।

প্রতিক্ষণ/এডি/মেহজাবীন

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G